আগামী নির্বাচনে ইসলামি দলগুলো সম্মিলিতভাবে একটি নির্দিষ্ট প্রতীক কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসা ও দরবার শরীফে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমানের উপস্থিতিতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান চরমোনাই পীর। তিনি বলেন, ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রচেষ্টা অতীতে ছিল এবং তা এখনো চলমান। ৫ আগস্টের পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি ইতিবাচক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, যা ইসলামি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সংবাদ সম্মেলনে চরমোনাই পীর ও জামায়াতের আমির উভয়েই সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দেন। তারা বলেন, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এ পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামি দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ভোটব্যাংক তৈরি করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন চাই না। তাই যুক্তিসঙ্গত সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”
দেশের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিষয়ে জামায়াত আমির বলেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও আমরা এখনো প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। যেখানে আল্লাহর বিধান নেই, সেখানে অনিয়ম ও দুর্নীতি স্বাভাবিক ব্যাপার।”
সংবাদ সম্মেলনে ভারত প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ, কিন্তু দুই দেশের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া থাকা উচিত নয়। তিনি মনে করেন, এটি দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির ফলাফল।
ইসলামি দলগুলোর ঐক্যের বিষয়ে চরমোনাই পীর বলেন, এই ঐক্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, বরং ধর্মীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দলগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তি আরও দৃঢ় হবে।