Search
Close this search box.

রবিবার- ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কদমতলী পশ্চিম থানা জামায়াতের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

জামায়াতের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, কদমতলী পশ্চিম থানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে এক ব্যতিক্রমী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উক্ত স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মজলিসে শুরার সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ডা. মোঃ তোফাজ্জল হোসেন। কদমতলী পশ্চিম থানা আমির জনাব কবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি মো. আব্দুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। সাংবাদিক মো. আব্দুর রহমান প্রোগ্রামের উপস্থাপনা করেন।

ডা. মোঃ তোফাজ্জল হোসেন উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে আমরা প্রতিটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। জামায়াত ইসলামী বরাবরই জনগণের কল্যাণে কাজ করে এসেছে, ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম আরও বড় পরিসরে পরিচালিত হবে। সৃষ্টির সেবাই স্রষ্টার সেবা এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে জামায়াত ইসলামী স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছেন যারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারেন না। জামায়াত ইসলামী সেইসব মানুষের সেবায় নিয়োজিত। এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে আমরা বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি, যাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হতে পারেন। ভবিষ্যতে আরও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

সভাপতির বক্তব্যে জনাব কবিরুল ইসলাম বলেন, এই উদ্যোগ মূলত সেইসব মানুষের জন্য, যারা মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। জামায়াত ইসলামী সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং অসহায় মানুষ উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করা নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া। আমরা চাই, প্রতিটি মানুষ যেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায় এবং সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লালবাগ থানার সেক্রেটারি জনাব আবুল খায়ের। তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামী সবসময় মানুষের সেবা করে এসেছে। এই মেডিকেল ক্যাম্প তারই একটি অংশ। স্বাস্থ্যসেবা সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার এবং জামায়াত ইসলামী এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ জামায়াত ইসলামীকে তাদের কল্যাণে নিবেদিত একটি সংগঠন হিসেবে দেখছে এবং এই আস্থার কারণেই সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে আছে।

সাংবাদিক মো. আব্দুর রহমান বলেন, জামায়াত ইসলামী শুধু রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এটি একটি কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানও। এই মেডিকেল ক্যাম্প তারই প্রমাণ। আমরা বিশ্বাস করি, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াত ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে জামায়াত ইসলামী সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এবং তাদের কল্যাণে কাজ করছে।

এই মেডিকেল ক্যাম্পে তিনশতাধিক রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগীদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে পরামর্শ দেন। এছাড়াও, প্রায় শতাধিক মানুষের বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় করা হয়।

অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মজলিসে শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, কদমতলী-শ্যামপুর জোনের পরিচালক সৈয়দ যয়নুল আবেদীন।

তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামী গণমানুষের সংগঠন। আমরা চাই, প্রতিটি ঘরে জামায়াত ইসলামী পৌঁছে যাক, যাতে সবাই এই কল্যাণমূলক কার্যক্রমের অংশ হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য শুধু স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নয়, বরং মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই জামায়াত ইসলামী এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভবিষ্যতেও জামায়াত ইসলামী স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

মেডিকেল ক্যাম্পে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কদমতলী পশ্চিম থানা অর্থ সম্পাদক মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য জনাব আবুল হাসেম এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হারুনুর রশিদ, নূরুল আলম প্রমুখ।
মেডিকেল ক্যাম্পের আহ্বায়ক ছিলেন জনাব মনিরুজ্জামান। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পেইনের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এলাকাবাসীরা জামায়াত ইসলামী’র এই উদ্যোগকে অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে অভিহিত করেছেন। তারা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার, কিন্তু অনেকেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা পান না। জামায়াত ইসলামী যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে আমরা চাই, আরও বড় পরিসরে এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হোক। এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে বলে সকলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়