
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেছেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ঠেকানোর জন্য নতুন নতুন বয়ান সামনে আনা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রে উত্তরণের কোনো বিকল্প নেই।
জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে ডিপ্লোমা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিম্যাব) আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “যারা নির্বাচন না হওয়ার জন্য বাধা সৃষ্টি করছে, তাদের বলবো—আপনাদের কর্মসূচি জনগণের কাছে নিন। কিন্তু নির্বাচন বন্ধ করলে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে, যা আধিপত্যবাদী শক্তিকে সুযোগ করে দেবে।”
দুদু আরও বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। অথচ দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আন্দোলনে বিএনপির বহু নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে। জুলাই-আগস্টের মূল বার্তা হচ্ছে—স্বৈরাচারের বিদায় ও গণতন্ত্রের আগমন।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, “যদি আমরা নিজেরাই নির্বাচনের বিরোধিতা করি, তাহলে জনগণ আমাদের স্বৈরাচারের পক্ষে মনে করবে। শেখ হাসিনা তিনবার ভণ্ডামির নির্বাচন করেছেন, আর কোনো ভণ্ডামি জনগণ মেনে নেবে না।”
তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যতের ফয়সালা হয়ে যাবে। শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করার বিকল্প কোনো শক্তি নেই।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ সিদ্দিকী। এছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মো. রহমতুল্লাহসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।