
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় মাথায় আঘাত পাওয়া গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসা ছাড়া ঝুঁকি কাটানো কঠিন হবে।
গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের সামনে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু নুরুল হক নুরসহ কয়েকজন আহত হন। পরবর্তীতে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
৩ দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ করল বাকৃবির শিক্ষার্থীরা
নুরের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ হোসেন রাসেল জানান, কোটা আন্দোলন (২০১৮) এবং ডাকসু ভবনে হামলার (২০১৯) সময়ও গুরুতর আহত হয়েছিলেন নুর। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া অত্যাবশ্যক বলে মনে করছেন তিনি।
নুরুল হক নুরকে আইসিইউতে তিন দিন রাখার পর সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও তিনি এখনও পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মাথা ও মুখে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তার ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রমাটিক সাবআরাকনয়েড হেমোরেজের কারণে স্নায়বিক জটিলতা, কথা বলার সমস্যা, ভারসাম্যহীনতা এমনকি আলঝেইমারের মতো রোগের আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে। এছাড়া মাথার ফ্র্যাকচারের কারণে ইনফেকশনের ঝুঁকিও থেকে যায়। তাই উন্নতমানের চিকিৎসা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।