Search
Close this search box.

বৃহস্পতিবার- ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নতুন প্রজন্মের মধ্যে ঈমানের সংকট কারণ ও সমাধান

প্রতিটি মুসলিমের জন্য সর্বোত্তম ইবাদাত হল নিজের ঈমানকে মজবুত করা |যদি কোন মুমিন মুসলিম ব্যক্তির ঈমান ঠিক না থাকে তাহলে তার কোন এবাদত বন্দেগি আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না | কোন ব্যক্তি যদি পাহাড় সমান নেক আমল নিয়ে আল্লাহর কাছে যায় , বিপরীত দিকে তার ঈমান ঠিক না থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির নেক আমল কোন কাজে আসবে না |

প্রতিটি মুসলিমের জন্য সর্বোত্তম ইবাদাত হল নিজের ঈমানকে মজবুত করা। যদি কোন মুমিন মুসলিম ব্যক্তির ঈমান ঠিক না থাকে তাহলে তার কোন এবাদত বন্দেগি আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। কোন ব্যক্তি যদি পাহাড় সমান নেক আমল নিয়ে আল্লাহর কাছে যায় , বিপরীত দিকে তার ঈমান ঠিক না থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির নেক আমল কোন কাজে আসবে না।

ইসলামের শরীয়তে প্রতিটি স্থরকে মনে প্রানে বিশ্বাস স্থাপন করাই হলো ঈমান। ইসলামের কোন বিষয়কে অবজ্ঞা করা যাবে না , বর্তমান যুগে মুসলিম মুমিনেরা ঈমান ভেঙ্গে ফেলে নিজের অজান্তেই যখন কোন মুমিন আল্লাহর দেওয়া বিধি-বিধানের বাহিরে গিয়ে নিজেদের মত করে হাদিস বার্তা বানিয়ে ছড়িয়ে দেয় তখন সে ব্যক্তি শিরকে করে। কোন কোন মুমিন আল্লাহর রাসূলের পথে না চলে নিজেদের মতো করে বানিয়ে নেয়া পথে চলে আবার ,কোন কোন মুমিন আল্লাহকে বিশ্বাস করে সাথে আল্লাহর উপর বিশ্বাস হারিয়ে তারা পীর আউলিয়াদের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যার সমাধান খুঁজে সেই ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি শিরকে গুনার সাথে লিপ্ত হয়ে যায়। শিরকের গুণা আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। সর্বপ্রথম মুমিন মুসলমানদের শিরকের গুনাহ থেকে বাঁচতে হবে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন আল্লাহর সঙ্গে অন্য কারো উপাস্য স্থির না করা। (সূরা ইসরাইল আয়াত ২২)

ইসলামী শরীয়তের কোন অংশকে অপছন্দ বা অস্বীকার করা যদি কোন মুমিন মুসলমান ইসলামী জীবন বিধান বা রীতি-নীতি অনুসরণ করার পরেও এ জীবন যাপন বা শরীয়তে কোন অংশকে অপছন্দ অস্বীকার করে তাহলে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে ,পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন: আর যারা কাফির তাদের জন্য রয়েছে দুর্গতি এবং আল্লাহ তাদের কর্ম বিনষ্ট করে দেবেন। এটা এর জন্য যে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা তারা অপছন্দ করে সুতরাং আল্লাহ তাদের নিষ্ফল করে দেবেন। (সূরা মুহাম্মদ আয়াত ৮-৯)

ঈমান রক্ষা করার জন্য সর্বপ্রথম আল্লাহকে মনে -প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। আল্লাহ তাআলা এক ও অদ্বিতীয় তার কোন শরীক নেই , আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শামিল করা যাবে না। এরপর এটা বিশ্বাস করতে হবে যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের শেষ নবী , এরপর আর কোন নবী আসবে না। কোন নবুয়তের প্রয়োজন নেই শেষ নবী যে সুন্নাহ আছে, তার রীতিমতো পালন করতে হবে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেখানো পথে, সকল মুসলিমকে চলতে হবে ঈমানকে সর্বদা সত্যের সাথে মিলিত করতে হবে। যে মুমিন যত বেশি মিথ্যা বলবে ততই তার ঈমান হারাবে। একজন ঈমানদার ব্যক্তি কখনো মিথ্যা কে আশ্রয় দিবে না , সে সর্বদা সত্যের পথে চলবে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ওপর নাযিলকৃত শরীয়তের দান করেছেন। তার সুন্নত ও হাসানা উত্তম আদর্শের পথ নির্দেশ করেছেন। ঈমান আকিদা ও শরিয়ত এর সকল উৎস আমাদের জন্য আজও সংরক্ষণ করে রেখেছেন। স্থায়ীভাবে তা সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট। তাই প্রতিটি মানুষকে ঈমান ও ইসলামের ওপর নির্ভর করে জীবন পরিচালনা করতে হবে। প্রতিটি মুমিন মুসলমানের ঈমানকে তাজা করতে হবে, তা না হলে সেই ব্যক্তি কোন ইবাদত আল্লাহর নিকট পৌঁছাবে না। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোনো ঈমানদার নারী পুরুষের জন্য সে বিষয়ে ভিন্ন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোন অধিকার নেই আর যে আল্লাহর ও তার রাসূলের আদেশ অমান্য করে, সে ব্যক্তি প্রকাশে পথভ্রষ্টতায় পতিত হবে। ( আল আহ্যাব আয়াত ৩৬)

শামীমা সুলতানা

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়