Search
Close this search box.

সোমবার- ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রমজানে রোজার ফজিলত

রমজানে রোজার ফজিলত

রমজান মাস গুনাহ মাফের মাস রমজান মাস। নিজেকে শুদ্ধ করার মাস, প্রতিটা পাপী গুনাহগার বান্দা এই রমজানে তাদের গুনাহ দূর করতে পারবে। রমজান মাস পরম মহিমার সাথে আমাদের কাছে আসে তাই এই মাসকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের করা পাপ ও গুনাহ থেকে নিজেদেরকে মুছে ফেলতে হবে। খারাপ কাজকে দূরে সরিয়ে ভালো কাজে লিপ্ত হতে হবে।

পবিত্র রমজানে ৩০ দিন রোজা রাখেন মুসলমানরা। রোজার দিনে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন তারা। এছাড়াও যেকোনো ধরনের অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকেন। ভোর রাতে সেহরি খেয়ে শুরু হয় রমজানের রোজা। শেষ হয় সন্ধ্যায় ইফতারের মাধ্যমে। পুরোদিন আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য পানাহার এবং অন্যান্য স্বাভাবিক কাজ থেকে বিরত থাকেন মুসলমানরা। আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের এই আমলের প্রতিদান নিজ হাতে দেবেন।

রমজান মাসের এক একটি রোজাতেই আল্লাহ তায়ালা অনেক ফজিলত বরকত দিয়েছেন ,যা সারা বছরেও অর্জিত করা সম্ভব নয়। সিয়াম সাধনার মাস রমজান। তাকওয়ার মাস রমজান। কোরআন নাজিলের মাস রমজান।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রমজান মাস, এতে (এই মাসে) মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের সুস্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এই মাসে সিয়াম ব্রত পালন করে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৫) ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের (রোজার) বিধান দেওয়া হলো, যেমন সিয়ামের বিধান তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৩)

সুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসে সিয়াম পালন করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে রমজান মাসে রাত জেগে ইবাদত করবে (তারাবিহ নামাজ পড়বে), তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ ‘যে ব্যক্তি ইমানসহ সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদত করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মার্জনা করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, হাদিস: ৩৭,৩৬ ও ৩৪)

সিয়াম পালনকারীর জন্য রয়েছে জান্নাতে বিশেষ অভ্যর্থনা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রায়্যান নামক একটি বিশেষ তোরণ আছে। এ তোরণ দিয়ে কিয়ামতের দিন শুধু রোজাদারগণই প্রবেশ করবেন। তাঁদের প্রবেশের পর দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে, তাঁরা ছাড়া আর কেউ এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (বুখারি, খণ্ড: ৩, হাদিস: ১৭৭৫)
প্রতিটি মানুষ যেন এই রমজানে আল্লাহর দেওয়া রীতিনীতি বিধান মেনে চলে নিজেদের আত্মশুদ্ধির জন্য।

শামীমা সুলতানা

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়