মানব সমাজ দিন দিন জটিল থেকে জটিলতার হয়ে যাচ্ছে। সমাজে দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের অশান্তি। সমাজে এমন কিছু মানুষ থাকে যারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মের অপব্যবহার করে। সাধারণ জনগণকে প্রতিনিয়ত ধোকা দিচ্ছে এবং প্রতারণা করছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচারিত অনেক সংবাদ এর সঙ্গে সামাজিক স্বার্থ জড়িত থাকে। এমন সংবাদের প্রচার মানুষকে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা থেকে রক্ষা করে, এবং কখনো কখনো বড় ধরনের বিপর্যয় থেকেও আত্মরক্ষার উপলব্ধি হয়।
আধুনিক যুগে মানুষের কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্পৃক্ত থাকে কোটি কোটি মানুষ। অনেকেই অনেকভাবে সোশ্যাল মিডিয়াটাকে উপভোগ করে। ভালো -মন্দ সব শ্রেণীর মানুষরা ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার সীমাহীন প্লাটফর্মে চোখের গুনাহ সহ নানাবিধ কপটতা, গুনাহ ইত্যাদি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারলে ইসলাম প্রচার করা যায় করা জায়েজ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের চোখের গুনাহ বেশি হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটা জিনিস যেটা আমরা চাইলে ভালোর দিকে নিয়ে যেতে পারি, আবার চাইলে খারাপের দিকে ধাবিত করতে পারি। প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তিকে সতর্ক থাকতে হবে যেন নিজের ঈমান সদা সর্বদা ইসলামের দিকে ধাবিত করা যায়।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সমূহের বিশেষ করে ফেসবুকে দৃষ্টি অবনত রাখা যায় না। এখানে নিজের অজান্তেই ভালোর পরিবর্তে খারাপের জড়িয়ে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি সৃষ্টি হয়। ইসলামী স্কলারদের অভিমত হল সোশ্যাল মিডিয়া গোনাহের জড়িয়ে পড়া সম্ভাবনা থাকলে তার জন্য দিন প্রচার করা জায়েজ নয়, কারণ হাদিসে রাসুল সাঃ এরশাদ করেছেন যে , হে আয়েশা! তুমি সামান্য পরিমাণ গোনাহ থেকে বেঁচে থাকো, নিশ্চয় আল্লাহ তা তাআলা অনুসন্ধান করবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে যেকোন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া কোন তথ্য যাচাই বাছাই ছাড়া গ্রহণ করা এবং তা অন্যের কাছে প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে গ্রহণ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন হে মুমিনরা! যদি কোন পাপাচারি ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ নিয়ে আসে তবে তোমরা তার যাচাই করে দেখবে যাতে, অজ্ঞাতবশত তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতি সাধনের প্রবৃত্ত এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও! (সূরা হুজুরাত আয়াত ৬)
সামাজিক মাধ্যমে কেউ যদি কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তাহলে অবশ্যই থাকে যথাযথ দলিল ও প্রমাণ দিতে হবে এবং সে বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রচার।
শামীমা সুলতানা