
রবিউল আউয়াল মাসের সূচনা হলো। মুসলমানদের বিশ্বাস—এ মাসে নবী মুহাম্মদ (সা.) মানবজাতিকে অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানে, বিভ্রান্তি থেকে হেদায়েতে ফিরিয়ে আনার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত হন।
মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মমাস রবিউল আউয়াল শুরু হয়েছে। মুসলিম বিশ্বে এ মাসটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এ মাসেই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সর্বশেষ নবী ও মানবতার ত্রাণকর্তা মহানবী মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ (সা.)।
ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, মহানবী (সা.) মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন। বিভ্রান্ত মানবতাকে হেদায়েতের আলোয় ফিরিয়ে আনা, অজ্ঞতা দূর করে জ্ঞান দান এবং নৈতিকতার পূর্ণতা দান ছিল তাঁর প্রেরণের মূল লক্ষ্য। কোরআনে বলা হয়েছে—‘আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করেছেন যে তিনি তাদের নিজেদের মধ্য থেকে তাদের কাছে রাসুল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাঁর আয়াতগুলো তাদের কাছে তিলাওয়াত করে, তাদেরকে পরিশোধন করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও তারা আগে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিল।’ (আলে ইমরান : ১৬৪)।
কোরআনে বলা হয়েছে—“তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মধ্যে আছে উত্তম আদর্শ” (আহজাব : ২১)। ধর্মীয় আলেমরা বলেন, নবীজির (সা.) সুন্নাহ অনুসরণ ছাড়া মুক্তি নেই।
মহানবী (সা.) ছিলেন মানবতার সর্বোত্তম আদর্শ। তিনি সত্যবাদী, বিশ্বস্ত, উদার, ধৈর্যশীল ও ক্ষমাশীল ছিলেন। আল্লাহ তাঁর আনুগত্যকে নিজের আনুগত্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। মহানবী (সা.)-এর আগমনের আগে আরব সমাজ ছিল জাহেলি অন্ধকারে আচ্ছন্ন। কন্যাশিশু হত্যাসহ নানা অমানবিক প্রথা প্রচলিত ছিল। ইসলামি ইতিহাসে উল্লেখ আছে, তাঁর আগমন মানুষের অন্তরে আলো ছড়িয়ে দেয় এবং সমাজকে ন্যায় ও ভ্রাতৃত্বের পথে নিয়ে আসে।
রবিউল আউয়াল মাসে মুসলিম উম্মাহ নবীজির (সা.) জন্মের মাহাত্ম্য স্মরণ করে থাকে। বিশ্বজুড়ে বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে এ মাসে তাঁর শিক্ষা ও জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।