ডাইসন, যারা মূলত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার তৈরির জন্য পরিচিত, এবার নতুন wearable প্রযুক্তি নিয়ে হাজির। তাদের নতুন উদ্ভাবন, ডাইসন জোন, একটি হেডফোন যার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে মুখের জন্য একটি এয়ার পিউরিফায়ার। এই পণ্যটি পরিবেশ দূষণের ক্রমবর্ধমান সমস্যা সমাধানে সহায়ক। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ফিল্টার যা বাতাসকে পরিষ্কার করে ব্যবহারকারীর নাক ও মুখে বিশুদ্ধ বায়ু সরবরাহ করে।
ডাইসন জোনের বৈশিষ্ট্য
১. শব্দনিরোধী হেডফোন:
ডাইসন জোন হেডফোনে রয়েছে উন্নতমানের শব্দনিরোধী প্রযুক্তি যা শব্দের মানে কোনো আপস করে না।
২. এয়ার পিউরিফায়ার:
প্রতিটি ইয়ারকাপে একটি মোটর, ফ্যান এবং এয়ার ফিল্টার রয়েছে। এগুলো থেকে বাতাস টেনে এনে পরিষ্কার করা হয় এবং নাক ও মুখে পৌঁছে দেওয়া হয়।
৩. চারটি পিউরিফিকেশন মোড:
ব্যবহারকারীর শারীরিক কার্যকলাপ অনুযায়ী চারটি মোড রয়েছে। যেমন হাঁটার সময় বেশি পিউরিফিকেশন এবং বসার সময় কম।
৪. ব্যাটারি লাইফ:
নিম্ন ফিল্ট্রেশন মোডে ৪ ঘণ্টা এবং উচ্চ ফিল্ট্রেশন মোডে ১.৫ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায়।
ডাইসন জোনের ডিজাইন প্রথম থেকেই নজরকাড়া। পণ্যের সঙ্গে থাকা মুখের ভিসারটি ম্যাগনেটিকভাবে হেডফোনে যুক্ত হয়। এর সাহায্যে মুখ স্পর্শ না করেই বিশুদ্ধ বাতাস সরবরাহ করা হয়। ডাইসন জানিয়েছে, এই পণ্যটি ৯৭% পর্যন্ত দূষণ থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
ডাইসন জোন তৈরি করতে ছয় বছর সময় লেগেছে। ৫০০টিরও বেশি প্রোটোটাইপের পর এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, পণ্যটির ডিজাইন ছিল একটি ব্যাকপ্যাক এবং স্নরকেল আকৃতির মুখপত্র নিয়ে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি হালকা এবং কার্যকর করে তোলা হয়েছে। ডাইসন জোন ইতোমধ্যেই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোড়ন তুলেছে।