জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, তা সম্পূর্ণভাবে সরকারের এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গোয়েন লুইস বলেন, নির্বাচন কমিশনের চিঠির ভিত্তিতে জাতিসংঘ বাংলাদেশে নির্বাচনী কারিগরি সহায়তা নিয়ে কাজ করছে। কমিশন কী ধরনের সহায়তা চায় এবং সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, তা নির্ধারণে কাজ করছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
তিনি আরও জানান, ইউএনডিপি মিশন ১০ দিন ধরে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করবে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, শিক্ষক এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
গোয়েন লুইসের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দেখা যায়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ এখনও রয়েছে। বিএনপি চলতি বছরের মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানালেও সরকার বলছে, প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার পরই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন। আমরা সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়েই নির্বাচন আয়োজন করা হোক।
ইউএনডিপি মিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার বিষয়েও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছে। গোয়েন লুইস বলেন, “কমিশন ইতোমধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।