Search
Close this search box.

বৃহস্পতিবার- ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাশ্রয়ী কলরেটে আবার ফিরছে সিটিসেল

সাশ্রয়ী কলরেটে ফিরে আসছে সিটিসেল
ছবি: ইন্টারনেট

বাংলাদেশের প্রথম সিডিএমএ প্রযুক্তির মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল দীর্ঘ বিরতির পর পুনরায় সাশ্রয়ী কলরেট নিয়ে সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কোম্পানিটি বিটিআরসির কাছে অপারেটিং ও রেডিও ইকুইপমেন্ট লাইসেন্স পুনর্বহালের আবেদন করেছে। সিটিসেল কর্মকর্তাদের মতে, ২৫ পয়সা কলরেট এবং উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা দেশের গ্রাহকদের সাশ্রয়ী টেলিকম সেবা দিতে প্রস্তুত।

সিটিসেলের দীর্ঘ যাত্রা ও বর্তমান পরিস্থিতি

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের মাধ্যমে মোবাইল সেবা চালু হয়। ১৯৯৩ সালে প্যাসিফিক টেলিকম মালিকানা নেয়, যা পরবর্তীতে সিটিসেল নামে পরিচিত হয়। ২০১৬ সালে বিটিআরসির নির্দেশে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়, যার ফলে সেবাও বন্ধ হয়ে যায়। বিটিআরসির কাছে সিটিসেলের বর্তমান বকেয়া ১২৮ কোটি টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা লাইসেন্স পুনর্বহালের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

লাইসেন্স ও তরঙ্গ ইস্যুতে সিটিসেলের দাবি

সিটিসেলের চিফ স্ট্রেটিজিক অ্যাডভাইজার মেহবুব চৌধুরীর মতে, তারা সরকারের সাথে নিয়ম মেনে কাজ করেছে এবং ১০ মেগা হার্জ ফ্রিকুয়েন্সির পেমেন্ট দিলেও কম তরঙ্গ পাওয়ার অভিযোগ করেন। এতে কোম্পানিটি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে এবং পরে লাইসেন্স বাতিল হয়। বর্তমানে তাদের লাইসেন্স পুনরুদ্ধার এবং প্রযুক্তি নিরপেক্ষ ফাইভজি অন্তর্ভুক্ত লাইসেন্সের আবেদন করা হয়েছে।

আর্থিক ক্ষতি ও সরকারের রাজস্ব বঞ্চনা

সিটিসেলের হেড অব ট্রেজারি মাকসুদা হাবিব জানান, লাইসেন্স বাতিলের ফলে কোম্পানির বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। গত আট বছরে তারা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান গুণেছে এবং ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে, যার মধ্যে সরকারের কর বাবদ বঞ্চিত হয়েছে ৪৩০ কোটি টাকা।

বিটিআরসির প্রতিক্রিয়া

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী জানিয়েছেন, সিটিসেলের আবেদন পর্যালোচনা করা হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়