ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বার্তায় জানানো হয়েছে, এখন ঘরে বসেই অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যাবে। জানুন কীভাবে ই-রিটার্ন প্রক্রিয়া সহজ হলো এবং কীভাবে এটি করদাতাদের জন্য সহায়ক।
বাংলাদেশের কর ব্যবস্থাপনায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীকে জানিয়েছেন, এখন থেকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে ব্যাংক বা আয়কর অফিসে যেতে হবে না, ঘরে বসেই অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডিজিটাল কর ব্যবস্থা
ড. ইউনূস তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি করদাতাদের দেওয়া আয়কর। তবে এতদিন কর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল বেশ জটিল। এখন থেকে এই প্রক্রিয়া সহজ করতে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ও গাজীপুর শহরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া, অন্য সব করদাতাদেরও ই-রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
প্রতিযোগিতা ও স্বীকৃতি
ড. ইউনূস বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের করদাতাদের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে জমা দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে পারে। করদাতাদের সহায়তা করার জন্য তরুণদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সহজ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
এনবিআর গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪-২৫ করবর্ষের ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রম শুরু করেছে। টিআইএন নম্বর এবং বায়োমেট্রিক ভেরিফায়েড মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে etaxnbr.gov.bd থেকে সহজেই রেজিস্ট্রেশন করে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। কর দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর।
কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
ড. ইউনূসের ভাষ্য অনুযায়ী, আয়কর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই অনলাইন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। করদাতারা সহজেই বাড়িতে বসে আয়কর দাখিল করতে পারবে, এতে ঝামেলা যেমন কমবে তেমনি কর পরিশোধও হবে মসৃণ।