৫০ বছর পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি সমুদ্রপথে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। করাচি থেকে একটি কার্গো জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন দিক হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।
পাকিস্তানের কার্গো জাহাজটি চট্টগ্রামে তিন শতাধিক কন্টেইনার নিয়ে আসে। বাংলাদেশের বন্দরে নোঙরের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তিনি জানান, এই সমুদ্রপথ সরবরাহ ব্যবস্থাকে সহজতর করবে এবং উভয় দেশের জন্য নতুন ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করবে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ২০২৩ সালে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছিল। নতুন এ উদ্যোগ বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের উদ্বেগ ও নিরাপত্তা ঝুঁকি
ভারত এই নতুন বাণিজ্যিক যোগাযোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের এই সম্পর্ক ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি যোগাযোগের ফলে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ পণ্য প্রবেশের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
একজন বিশেষজ্ঞ উল্লেখ করেছেন, ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র জব্দের ঘটনা এখনও স্মরণীয়। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা সে সময় অস্ত্র সরবরাহের চেষ্টা করেছিল। ভারত আশঙ্কা করছে, নতুন এই রুট একই ধরনের অবৈধ কার্যক্রমকে সহজতর করতে পারে।
পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের উষ্ণতা
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট এই ঘটনাকে ঐতিহাসিক পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছে। এটি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত জটিল কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের একটি বড় পদক্ষেপ।