Search
Close this search box.

শনিবার- ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশের বাজারে কবে আসছে বাজাজ ফ্রিডম ১২৫ সিএনজি? তুলনায় বাংলাদেশি বাইকারদের জন্য কতটা লাভজনক হবে এই বাইক?

বাজাজ ফ্রিডম ১২৫ সিএনজি বাংলাদেশ
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতের পর এবার বাংলাদেশেও বাজাজ ফ্রিডম ১২৫ সিএনজি বাইক বাজারে আসার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বাজাজ অটো বিশ্বে প্রথমবারের মতো সিএনজি চালিত মোটরসাইকেল বাজারে এনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে, তাই এই বাইকটি দেশের বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হতে পারে।

বাজাজ অটো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জন্য লঞ্চের তারিখ ঘোষণা করেনি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের বাজারে ফ্রিডম ১২৫ সিএনজি আসতে পারে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বাজাজের ডিস্ট্রিবিউটররা এই বাইক আনার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভারতে বাজাজ ফ্রিডম ১২৫-এর দাম শুরু হয়েছে ৮৯,৯৯৭ টাকা (ভারতীয় রুপি, এক্স-শোরুম)। বাংলাদেশে এলে ট্যাক্স এবং শুল্কসহ এর মূল্য হতে পারে আনুমানিক ১.৭০ লাখ থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে। তবে সরকারি নীতির ওপর নির্ভর করে দাম কমতে বা বাড়তে পারে।

বাংলাদেশের জন্য কতটা উপযোগী হবে এই বাইক?
১. সাশ্রয়ী জ্বালানি খরচ: বাংলাদেশে সিএনজির দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় এই বাইকটি চালাতে খরচ হবে অনেক কম। প্রতিদিনের যাতায়াতে যারা বাইক ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এটি একটি লাভজনক সমাধান হতে পারে।

২. পরিবেশবান্ধব বিকল্প: ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বড় শহরগুলোতে বায়ুদূষণ ক্রমশ বাড়ছে। সিএনজি চালিত এই বাইকটি কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে পরিবেশবান্ধব একটি বিকল্প দিতে পারে।

৩. নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স: এই বাইকের ১২৪ সিসি ইঞ্জিন শক্তি এবং মাইলেজের দিক থেকে বেশ ভালো পারফরম্যান্স দেবে। বাজাজের ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং সার্ভিস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুবিধা।

চ্যালেঞ্জসমূহ:
১. সিএনজি স্টেশন: বাংলাদেশে এখনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে সিএনজি স্টেশনের সংখ্যা কম। ফলে বাইকারদের হয়তো শহরাঞ্চলে এই বাইকটি বেশি কার্যকর মনে হতে পারে।

২. প্রারম্ভিক দাম: বাংলাদেশের ট্যাক্স নীতির কারণে প্রথমে বাইকটির দাম কিছুটা বেশি হতে পারে, যা মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।

 

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়