বাংলাদেশ সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আগামী মাসেই চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর কথা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল সূত্রে জানা যায়, এই আমদানি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচন করেছে। এর আগে বাংলাদেশ প্রধানত ভারত থেকে চিনি আমদানি করত।
পাকিস্তানের চিনি শিল্প বহু বছর পর এত বড় আকারে বাংলাদেশে তাদের পণ্য রপ্তানি করছে। করাচি বন্দর থেকে চিনি পাঠানো হবে, যা আন্তর্জাতিক মানের বলে দাবি করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর চলতি বছর পাকিস্তান প্রায় ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে ৭০ হাজার টন মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে এবং ৫০ হাজার টন থাইল্যান্ডে পাঠানো হবে। উপসাগরীয় দেশ, আরব এবং আফ্রিকার দেশগুলোও পাকিস্তানের চিনির প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টনে ৫৩০ মার্কিন ডলার। পাকিস্তান এই রপ্তানি কার্যক্রম থেকে ৪০০-৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার প্রত্যাশা করছে। পাকিস্তানের চিনি শিল্প দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বাংলাদেশের জন্য পাকিস্তান থেকে আমদানি করা চিনি ভারতের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। এ ধরনের চুক্তি দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের ৮০টিরও বেশি চিনিকল গত সোমবার থেকে নতুন মৌসুমের উৎপাদন শুরু করেছে। দেশটির আধুনিক চিনি উৎপাদন ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক দাম বজায় রাখতে সাহায্য করছে।