ইলিশের দামের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির কারণে সরবরাহ ও বাজার ব্যবস্থায় অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আকারভেদে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন।
চলতি মৌসুমে ইলিশের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আকারভেদে সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। রোববার প্রকাশিত কমিশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে স্থানীয় বাজারে এক কেজি ইলিশের দাম ৯০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় ওঠানামা করেছে। অথচ একই সময়ে ভারতে রপ্তানি হওয়া ইলিশের গড় দাম ছিল কেজিতে ১ হাজার ৫৩৪ টাকা। এতে স্থানীয় বাজারে অস্বাভাবিক মুনাফার বিষয়টিও উঠে এসেছে।
ট্যারিফ কমিশন ইলিশের দাম বৃদ্ধির পেছনে ১১টি কারণ চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা, সিন্ডিকেট, জ্বালানি ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, অবৈধ জালের ব্যবহার, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ও রপ্তানির চাপ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত পাঁচ বছরে স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম ৫৭ শতাংশ বেড়েছে, একই সঙ্গে রপ্তানি মূল্যও ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।