
নীলফামারী সংলগ্ন উত্তরা ইপিজেডে আজ সকাল ৯ টায় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে হাবিব নামের একজন শ্রমিক নিহত হয়। এছাড়াও আহতের সংখ্যা আরও বেশি বলেও জানা গেছে।
(২রা সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। যদিও বর্তমানে সংঘর্ষ বন্ধ, তবুও এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা ও থমথমে পরিস্থিতি।এই সংঘর্ষের ঘটনার কারণে নীলফামারী-সৈয়দপুর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কারখানার শ্রমিকরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছিলেন। একপর্যায়ে শ্রমিকদের একটি অংশ মহাসড়কে অবস্থান করেন। এই বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়।এতে পুলিশের শুরু হয় তুমুল পাল্টা ধাওয়া শুর হয় যা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত কয়েকজন শ্রমিক ও পুলিশ সদস্যরা।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানিয়েছেন নিহত হাবিব ‘ভেনচুরা লেদার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে’ কর্মরত ছিলেন বলে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিবকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ডা. তানজিরুল ইসলাম ফারহান নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মৃত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে একটু ক্ষত ছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ছাড়া বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। এ ছাড়া হাসপাতালে আহত অবস্থায় আরও ৫ শ্রমিক চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনাটির বিষয়ে জানানোর নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদের বার বার কল করার পরেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
নির্মাণ বিধিমালা ১৫ দিনের মধ্যে সংশোধনের দাবি রিহ্যাবের, না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
টানা আন্দোলনের কারণে উৎপাদন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে এভারগ্রীন কারখানা কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশে এ কথা জানিয়েছেন। তাই বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯-এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী ২ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রতিষ্ঠানটি চালুর কথা পরবর্তীতে নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।