Search
Close this search box.

বৃহস্পতিবার- ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও উত্তেজনার আভাস। আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে শিগগিরই তারা রাজপথে নামবে। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সাংবিধানিক কাঠামো থেকে বিচ্যুত আখ্যা দিয়ে দলটি এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, শুক্রবার ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী এক মাসের মধ্যেই দলের নেতাকর্মীরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথে বিক্ষোভে নামতে পারে।

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, “আমরা বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চাই। বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ড জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নয়, বরং এটি অসাংবিধানিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তাই জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার অপসারণের পর, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন, এবং দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর দলের অনেক সিনিয়র নেতা দেশ ত্যাগ করেছেন। শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ বিভিন্ন নেতা বর্তমানে বিদেশ থেকে দলের ঐক্য ও আন্দোলন পরিকল্পনায় যুক্ত রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, “আমরা দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে এবং এই সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আমাদের সমমনা রাজনৈতিক দলের সাথেও আলোচনা শুরু করেছি। এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন আমরা করবো।”

নাদেল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করার জন্য অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। সমন্বিতভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়ার মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের আরও উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন তারা।

এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় আগ্রহী নয় বলেও জানান তিনি। নাদেলের ভাষায়, “এই সরকার অসাংবিধানিক এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সুদৃঢ়। তাই সমঝোতার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আমরা চাই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক এবং দেশের সাংবিধানিক কাঠামো ফিরিয়ে আনা হোক।”

আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথমে বিভিন্ন শহরে ছোট পরিসরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে সমর্থন জোগাড় করা হবে। পরবর্তীতে, কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

দর্শক টোয়েন্টিফোর রাজনীতি সংবাদ

দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে তাদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চলছে। অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা লাভের মাধ্যমে দলটি আরো শক্তিশালী অবস্থানে থাকতে চায়। নাদেল আশাবাদী যে, অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলে জনমতকে আওয়ামী লীগের পক্ষে আনা সম্ভব হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগ যদি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলনে নামে, তাহলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটতে পারে। দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

Facebook আমরা

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়