বাংলাদেশ পুলিশের ড্রেস কোডে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। পুলিশের সর্বস্তরে, আইজিপি থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত একই ধরনের পোশাক চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং র্যাবের মতো ইউনিটের আলাদা পোশাক রয়েছে, যা সংস্কারের পর একীভূত করা হতে পারে। এছাড়াও, মাঠপর্যায়ের পুলিশরা কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে।
সংস্কারের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের প্রস্তাবনা
সম্প্রতি রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত একটি সমন্বয় সভায় দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। সেখানে কনস্টেবল থেকে আইজিপি পর্যন্ত একই ধরনের পোশাক ব্যবহারের প্রস্তাব উঠে আসে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন এবং বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে জনগণের সেবায় নিয়োজিত করার কথা। ৫ আগস্টের পূর্বে ব্যবহৃত ইউনিফর্মের রঙকে কলঙ্কিত বলে পরিবর্তনেরও প্রস্তাব এসেছে।
অন্যান্য প্রস্তাবনা ও দাবি
পুলিশ সদস্যদের আরও কিছু দাবি রয়েছে, যেমন কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করে ৮ ঘণ্টা করা, অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকে ওভারটাইম হিসেবে গণ্য করা এবং পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি ব্যবস্থা চালু করা। মাঠ পুলিশরা দাবি করেছে, যেসব কর্মকর্তার কারণে পুলিশের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংঘাত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক।
জনসাধারণের মতামত চেয়েছে পুলিশ সংস্কার কমিশন
পুলিশ সংস্কার কমিশন ‘কেমন পুলিশ চাই’ শিরোনামে সাধারণ জনগণের মতামত আহ্বান করেছে। দেশের যে কোনো নাগরিক ১৫ নভেম্বরের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ১০টি সভা হয়েছে এবং অংশীজনের সঙ্গে ৪টি সভা করে সংস্কারের রূপরেখা তৈরি হচ্ছে।