গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “অবৈধ সুযোগ-সুবিধার কারণে অনেক গণহত্যাকারী মুক্তি পাচ্ছে। এটা শহীদদের রক্তের প্রতি বেঈমানি।” বুধবার রাজধানীতে আয়োজিত জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ উপলক্ষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
শিবির সেক্রেটারি সরকারের উদ্দেশে বলেন, যে ক্ষমতার আসনে আপনারা বসে আছেন, তা শহীদদের রক্তে সিক্ত। এই আসনে বসে ফ্যাসিবাদী নীতিমালা টিকিয়ে রাখার কোনো প্রচেষ্টা চালানো হলে ছাত্রসমাজ তার উপযুক্ত জবাব দেবে। তিনি আরও বলেন, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আদালত প্রাঙ্গণে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হচ্ছে। গতকাল ইসকন গোষ্ঠীর হাতে আলিফ নিহত হওয়ার ঘটনাটি এরই প্রমাণ।
কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, দেশি-বিদেশি দোসররা নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের গণআন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অস্থিতিশীলতা তৈরির পাঁয়তারা চলছে। তিনি আরও বলেন, ছাত্রশিবিরসহ ছাত্রসমাজ আজ ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না।
ছাত্রশিবিরের একটি মিছিল মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে দৈনিক বাংলা মোড়, আরামবাগ হয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আলা উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবু সাদিক কায়েমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। একই দাবিতে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেটসহ দেশের অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।