
দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি আটটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংস্কার ভাবনা তুলে ধরেছেন। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও জনগণের স্বার্থকে সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “আমরা বাস্তবধর্মী সমালোচনা করতেই পারি, তবে জনগণের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো এড়িয়ে গেলে দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে।” তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের সমস্যাগুলো নিয়ে খোলামেলা বিতর্ক ও আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যনিয়ন্ত্রণ: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জনগণ চরম ভোগান্তির মধ্যে আছে। বাজার ব্যবস্থা ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে কিভাবে এসব নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হওয়া উচিত।
স্বাস্থ্যসেবা: দেশে ২০ কোটিরও বেশি মানুষের জন্য মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি। এটি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া দরকার।
শিক্ষাব্যবস্থা: ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে সঠিক শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার অত্যন্ত জরুরি।
কৃষি ও উৎপাদন বৃদ্ধি: কৃষি খাতের উন্নয়ন ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি নীতি সংস্কার প্রয়োজন।
শিল্প ও শ্রমিক অধিকার: দেশের শিল্প খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে হলে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে নতুন করে নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
পরিবেশ দূষণ রোধ: পরিবেশ দূষণ থেকে জনগণকে রক্ষা করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। এটি জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, তাই এর সমাধান জরুরি।
সুপেয় পানি সরবরাহ: বিশুদ্ধ পানির অভাবে দেশের বহু মানুষ ভোগান্তিতে আছে। সবার জন্য নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ নিশ্চিত করা সংস্কারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক।
জ্বালানি নিরাপত্তা: বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট মোকাবিলায় টেকসই সমাধান খুঁজতে হবে। জ্বালানির চাহিদা মেটানোর জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সংস্কারের কথা বলেছি। স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেও গণতন্ত্র ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।