
গতকাল রবিবার ও আজ সোমবার সকালে মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর, মুন্সিরহাট এবং মতলব উত্তর উপজেলার আমিরবাদ ও সুজাতপুরসহ কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে বড় ও মাঝারি আকারের ইলিশ সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।এত চড়া দামে সাধারণ জনগণের পক্ষে ইলিশ কেনা কোনভাবে সম্ভব নয়।
এখন শুধুমাত্র ছোট ইলিশ বা স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘টেম্পু ইলিশ’ই ভরসা হয়ে দাড়িয়েছে সাধারণ জনগণের কাছে।ছোট ইলিশ তুলনামূলক কমদামেই মিলছে বাজারে।ছোট ইলিশের পাশে ক্রেতাদের জমজমাট ভিরও দেখা যাচ্ছে।ক্রেতারা জানান এত চড়া দামে বড় বা মাঝারি ইলিশ কেনা তাদের পক্ষে সম্ভব নয় তাই ছোট ইলিশ কিনছেন।
ভরা মৌসুমেও চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাজারে বড় ও মাঝারি আকারের ইলিশ সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। যার দাম কমছে না বলে জানা যায়। এতে করে স্থানীয় সকল সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন মাছের বাজারে।মুন্সিরহাট এবং মতলব উত্তর উপজেলার আমিরবাদ ও সুজাতপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বাজারে খুব একটা মিলছে না, আর যা মিলছে তার দামও সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে।
৩০০ থেকে ৪৫০ গ্রাম ওজনের ছোট ইলিশ প্রচুর পরিমাণে আসছে বাজারে। যার দাম কিছুটা কম হওয়ার কারনে সল্প আয়ের সাধারণ মানুষ সেগুলোই কিনছেন।
মো. রয়েল ও পানু দাস নামের মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর বাজারের দুই মাছ বিক্রেতা জানান ৩০০ থেকে ৪৫০ গ্রাম ওজনের ছোট ইলিশ বাজারে প্রচুর আসছে। দামে কম হওয়ায় প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন মণ ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।ক্রেতারা দু-তিন কেজি করেও কিনছেন।তবে ছোট হলেও পদ্মার এই ইলিশ সুস্বাদু। কিন্তু ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ কেজিপ্রতি ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই সেগুলোর বেচাকেনাও অনেক কম হয়।
জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়টাই ইলিশের ভরা মৌসুম হিসেবে ধরা হয় এ জানিয়েছেন, মৎস্য কর্মকর্তারা।তবে এবার এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমান ইলিশের দেখা মিলছে না এবার, ফলে দামও অনেককাংশে বেড়েছে।এবার কাঙ্ক্ষিত হারে ইলিশ ধরা পড়ছে না মেঘনা নদীতে এ কথা বলেন, মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস এবং মতলব দক্ষিণের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান।তবে সামনে ইলিশের সরবরাহ বাড়তে পারে, তখন বাজারে দামও কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আরও বলেন, ছোট আকারের ইলিশ তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে—যা সন্তোষজনক দিক, কারণ এতে সল্প আয়ের মানুষরাও ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।