
যশোরের শার্শা উপজেলাধীন শ্যামলাগাছি গ্রামে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি সালিশের সময় বিএনপির ৫ কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আহত আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শার্শা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে । এর আগে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে মোটরসাইকেলে তেল নেয়ার সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
যারা আহত হয়েছেন শার্শার কন্যাদহ গ্রামের আশিকুর রহমান, শহিদুল ইসলাম (৪২), কবির হোসেন (৩০), শাহ আলম (৪০) ও ইমামুল হোসেন (৩৫)।
অভিযুক্তরা হলেন- শার্শার সামলাগাছী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে পিন্টু রহমান (৩২) ও লাল্টু রহমান (২৮), ওলিয়ার রহমানের ছেলে তারেক রহমান (৪২) ও হায়দার আলী (৩২)।
পুলিশের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কন্যাদহ গ্রামের ইকবাল হোসেন (২৫) শ্যামলাগাছি পেট্রোল পাম্প থেকে মোটরসাইকেলে তেল নেন। পরে হাতের ইশারায় তিনি পরিচিত আরেকজনকে ডাকেন, যা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে। ফেরার পথে ইকবালকে পিটিয়ে আহত করেন শ্যামলাগাছি গ্রামের লাল্টু রহমান ও পিন্টু রহমান।
পরে ইকবাল তার স্বজনদের ঘটনা জানালে তারা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মিন্টু মেম্বারকে জানান। তিনি মীমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে তাদের বাড়িতে আসতে বলেন। সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে ৫ জন আহত হন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম জানান, মারামারির খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, যেখানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।