মঙ্গলবার- ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

১২ দিনের সংঘর্ষে ইরানের বিজয়, ইস্রায়েলের পাইলট ক্ষতিগ্রস্ত

iran-israel-juddho-16-pilot-nahit
ছবি: সংগৃহীত

মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রাহিম-সাফাভি, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ সামরিক উপদেষ্টা, দাবি করেছেন যে চলতি বছরের ১৩ জুন শুরু হওয়া ১২ দিনের যুদ্ধে ইস্রায়েলের ১৬ জনেরও বেশি পাইলট নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, যুদ্ধের শুরুতে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা ব্যবস্থায় কিছু দুর্বলতা দেখা গেলেও তা দ্রুত মেরামত ও পুনর্গঠন করা হয়েছে।

সাফাভি জানিয়েছেন, যুদ্ধের প্রথম দুই-তিন দিনে ইরানের প্রতিরক্ষা কিছুটা দুর্বল থাকলেও চতুর্থ দিন থেকে ভারসাম্য পাল্টে যায় এবং শেষ পর্যন্ত ইরান পূর্ণ আধিপত্য স্থাপন করে। বিদেশি বিশ্লেষকরা প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি পরিস্থিতিকে ইরানের বিজয় হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইসরায়েল কোনো নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনিনা ইরানের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে, না গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বা সামরিক ও পারমাণবিক ক্ষমতা ধ্বংস করতে। বিপরীতে, ইরান তার উদ্দেশ্য সফলভাবে পূরণ করেছে। শত্রুর কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও টার্মিনালে হামলা চালানো হয়েছে, যা তাদেরকে আত্মসমর্পণের দিকে ধাবিত করেছে

 

সাফাভি আরও জানান, শত্রুপক্ষ ৬০০৬৪০টিরও বেশি আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা তাদের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন, ইরান বর্তমানে মহাকাশ ও বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পুনর্গঠন করছে এবং শক্তি বাড়াচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিটগুলো নতুন কমান্ডার নিয়োগ ও পুনর্গঠনের মাধ্যমে দ্রুত পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে।

সাফাভি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি শত্রুপক্ষ পুনরায় আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তবে ইরান আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তি দিয়ে জবাব দেবে।

উল্লেখ্য, এই সংঘর্ষে অন্তত এক হাজার ৬৪ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ছিলেন সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রও যুদ্ধে যুক্ত হয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনে হামলা চালায়।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়