
গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইসরাইল ৪৭ বার তা লঙ্ঘন করেছে, যার ফলে ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফা সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।
ইসরাইলি আগ্রাসন গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও বন্ধ হয়নি। ১০ অক্টোবর চুক্তি কার্যকরের পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৭ বার লঙ্ঘন করেছে তেল আবিব।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, গোলাবর্ষণ ও টার্গেট হামলার পাশাপাশি বেসামরিকদের ওপরও আক্রমণ করা হয়েছে। মিডিয়া অফিস জানাচ্ছে, হামলাগুলিতে ট্যাংক, ড্রোন এবং সেনা যান ব্যবহৃত হয়েছে।
নেতানিয়াহু বাহিনী শেজাইয়া, আল-তুফাহ ও যায়তুনেসেনা মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে। খান ইউনিস থেকেও সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি। এমনকি বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুনে এখনও ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজার একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার রাফা সীমান্ত পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, হামাস এখনও সব মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়নি, তাই সীমান্ত খোলা সম্ভব নয়।
ফিলিস্তিনি দূতাবাস জানিয়েছিল, গত সোমবার থেকে রাফা সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে। তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে এটি স্থগিত হয়েছে। স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর দাবি, রাফা সীমান্ত বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাফা সীমান্ত পুনরায় খোলা এবং মানবিক সহায়তার প্রবেশ নিশ্চিত করা একটি মূল শর্ত ছিল। চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করে মানবিক পরিস্থিতি সহজতর করা।





















