টোকিওতে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও বিরল মৃত্তিকার সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। মঙ্গলবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচি এই চুক্তিতে সই করেন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো সমন্বিত বিনিয়োগ ও ন্যায্য বাজার অনুশীলনের মাধ্যমে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলকে আরও শক্তিশালী করা। চুক্তি অনুযায়ী, ছয় মাসের মধ্যে উভয় দেশ যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অন্যান্য সমমনা দেশের মধ্যে সরবরাহযোগ্য পণ্য তৈরির প্রকল্প সমর্থনে উদ্যোগ নেবে।
জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাকাইচির সঙ্গে এটি ট্রাম্পের প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ। বৈঠকে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতেও আলোচনা হয়।
বিবিসি জানায়, এই বৈঠককে তাকাইচির জন্য প্রাথমিক কূটনৈতিক পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দুই নেতা তাদের দেশগুলোর জোটকে একটি নতুন “স্বর্ণযুগে” প্রবেশের ঘোষণা দেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে জাপানি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে, যা পূর্বেই নির্ধারিত ছিল কিন্তু মঙ্গলবার তা চূড়ান্ত হয়।
জাপান সফর শেষে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় যাবেন, যেখানে তার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
বৈঠকের সময় তাকাইচির নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতার প্রশংসা করেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লিভিট জানান, প্রয়াত জাপানি নেতা শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ মিত্র তাকাইচি ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাকাইচি ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন বিনিয়োগ প্যাকেজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছেন, যার মধ্যে রয়েছে জাহাজ নির্মাণ, প্রাকৃতিক গ্যাস, সয়াবিন ও পিকআপ ট্রাক ক্রয়সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক খাতের সম্প্রসারণ।





















