বৃহস্পতিবার- ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি শুরু ১২ অক্টোবর

typhoid-tika-bangladesh
ছবি: সংগৃহীত

দেশের শিশুদের টাইফয়েড থেকে সুরক্ষা দিতে রোববার, ১২ অক্টোবর থেকে দেশের প্রথম জাতীয় টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এক মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোর বিনামূল্যে টিকা পাবেন। জন্মনিবন্ধন না থাকা শিশুরাও টিকার আওতায় থাকবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান। উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায়, আজিমপুরে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটি দেশের ইতিহাসে প্রথম জাতীয় টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি এই টিকা সরকার পেয়েছে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন সহায়তা সংস্থা গ্যাভির সহযোগিতায়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনপ্রাপ্ত এই টিকাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। ইতিমধ্যে নেপাল, পাকিস্তানসহ আটটি দেশে সফলভাবে ব্যবহার হয়েছে এবং কোনো বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল ও মাদ্রাসায় টিকা পাবেন। এরপর ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী অন্যান্য শিশুরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা পাবেন। শহরের পথশিশুরা টিকাদান পাবেন বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে।

 

সরকারের লক্ষ্য ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া। ইতিমধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু নিবন্ধন করেছে, এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়া এখনও চলমান। জন্মনিবন্ধন না থাকা শিশুরাও নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় নিবন্ধন করতে পারবে। অভিভাবকরা  https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে ১৭ সংখ্যার জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং নিবন্ধনের পর সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।

ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, প্রথম ১০ দিন স্কুল ও মাদ্রাসায় ক্যাম্প আয়োজন করা হবে, এবং পরবর্তী ৮ দিন ইপিআই সেন্টারে টিকাদান চলবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আশা করছে, এই ক্যাম্পেইন সফল হলে টাইফয়েড প্রতিরোধে বাংলাদেশ একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করবে এবং দীর্ঘদিন উপেক্ষিত এই রোগ থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়