Search
Close this search box.

রবিবার- ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কর কমানোর সিদ্ধান্ত ও পুঁজিবাজারে এর প্রভাব

কর কমানোর সিদ্ধান্ত ও পুঁজিবাজার

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিনের মন্দা কাটাতে সরকারের সাম্প্রতিক কর কমানোর সিদ্ধান্ত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক শেয়ার লেনদেনে অর্জিত ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনী মুনাফার ওপর করের হার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মাঝে আশার সঞ্চার করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে এবং সূচকে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

এনবিআরের কর কমানোর সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। ডিএসই ও সিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ ও সূচক।

কর কমানোর কারণ ও এর প্রভাব

বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার কারণে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বেশ কিছুদিন ধরে ধুঁকছিল। বাজার সংশ্লিষ্টরা এ সমস্যার সমাধানে কর কমানোর দাবী জানিয়ে আসছিলেন। এনবিআরের সিদ্ধান্তের ফলে, বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে আরও আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রবেশ করছেন, যা বাজারে তারল্য বৃদ্ধি করছে। এ ধরনের পদক্ষেপ পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি

গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১২.৫২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৫৩৬৫ পয়েন্টে পৌঁছেছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার আলো দেখিয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯৫.১০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ১৪৮৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই ও সিএসইতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে, যা বাজারের স্থিতিশীলতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

কর কমানো কি যথেষ্ট?

যদিও কর কমানোর সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে, তবে বাজারের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বিনিয়োগকারীদের আস্থা টিকিয়ে রাখতে বাজারে সুশাসন নিশ্চিত করা ও বিনিয়োগ বান্ধব নীতিমালা গ্রহণ করা জরুরি।

এনবিআরের কর কমানোর সিদ্ধান্ত বর্তমান বিনিয়োগ পরিবেশে একটি সাহসী পদক্ষেপ। এটি বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী আকৃষ্ট করতে এবং পুরাতন বিনিয়োগকারীদের মনোবল বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে এই উদ্যম ধরে রাখতে সরকারের উচিত বাজার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করা, যাতে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী এবং টেকসই পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে পারে।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়