
প্রতিটা মমিন মুসলমান প্রহর গুনছে রমজানের সেই একফালি মিষ্টি চাঁদের হাসির জন্য। এ মাসে প্রতিটা ইবাদতে রয়েছে বহুগুণ প্রতিদান। অনেক পাপী বান্দা ও এই রমজানের উসিলায় হয়ে যাবে ঈমানদার। সব পাপ কাজ ছেড়ে দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে নিজেদের জীবনকে নতুন করে ইসলাম ও ঈমানের মধ্যে গড়ে তোলার সুযোগ দেয় রমজান। কোরআনে নিষিদ্ধ জিনিসগুলোকে না বলে ,নির্দেশিত বিষয়গুলোকে চর্চার মহাসুযোগ করে দিয়েছে এই রমজান মাস।
প্রতিটি ইবাদতের সওয়াব বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অতীতের পাপের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করার সুযোগ রয়েছে এ মাহে রমজানে। মুমিন বান্দাদের জীবন বদলে দেওয়ার মহাসুযোগ নিয়ে আসে রমজান তা যেন কিছুতেই হাত ছাড়া করা না হয়। প্রতিটি মুসলমানের প্রয়োজন নিজেদেরকে আল্লাহর কাছে নিবেদন করে রমজানের আগেই যথার্থ প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
পবিত্র রমজান মাসে মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ নেয়ামত। এই মাসে আল্লাহ তাআলার তার বান্দাদের উপর রহমত, মাগফিরাত এবং জান্নাত থেকে মুক্তি সুযোগ প্রদান করেন। তাই রমজান মাসের আগমনে আমাদের উচিত যথার্থভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা। যাতে আমরা এই রমজানে বরকত ও ফজিলত পূর্ণাঙ্গভাবে লাভ করতে পারি। রমজান মাসের পূর্বেই বিগত দিনের করা পাপের জন্য অন্তর থেকে আল্লাহর কাছে কাজ থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। আল্লাহ তাআলা বলেন তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো, হে মুমিনগণ যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা আন নূর)।
নবী করিম সাঃ প্রতিদিন ১০০বার করে আল্লাহর কাছে তওবা করতেন। তাই আমাদের ও উচিত রমজানের পূর্বে নিজেদের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য বেশি বেশি তওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। মন থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। নামাজে গিয়ে সিজদায় পড়ে আল্লাহর কাছে সকল পাপের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। নিজেদেরকে সংশোধন করতে হবে, পাশাপাশি আশেপাশের মানুষদেরকেও সংশোধন হওয়ার জন্য বলতে হবে। রমজান মাস রহমতের মাস। এই মাসকে এমন ভাবে আঁকড়ে ধরে রাখতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোন পাপ কাজে লিপ্ত না হওয়া যায়। মন থেকে সব ঘৃণা, অহংকার, লোভ ইত্যাদিকে মুছে ফেলতে হবে এসব কিছু মনের ভেতর রাখলে কোন এবাদত আল্লাহর কাছে পৌঁছাবে না।