
বর্ধিত ব্যয় আর স্থবির রাজস্ব আয়—এই দুই চাপে পড়েছে সরকার। সরকারি কর্মচারীদের সুবিধা বৃদ্ধি ও বকেয়া ভর্তুকি পরিশোধের কারণে ডিসেম্বরেই বাজেট সংশোধনের পথে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা বাড়ানোয় ব্যয় বেড়েছে সরকারের। তবে রাজস্ব আয় প্রত্যাশা অনুযায়ী না হওয়ায় বাড়তি ব্যয়ের অর্থসংস্থান নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট আগামী ডিসেম্বরেই সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চলতি বাজেটে বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ ছিল ৮৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা, যা নতুন সুবিধা কার্যকর হওয়ায় আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। বকেয়া ভর্তুকি পরিশোধ, এমপিওভুক্তি, পদোন্নতি ও ভাতা বৃদ্ধির ফলে ব্যয় ক্রমেই বাড়ছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিসেম্বরেই বাজেট সংশোধন জরুরি হয়ে পড়েছে। নতুন বেতন কাঠামোর প্রভাব পড়বে পরবর্তী সরকারের ওপর। অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের মতে, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় বেতন বৃদ্ধির দাবি বাস্তবসম্মত নয়। সার্বিকভাবে রাজস্ব আয় স্থবির থাকায় সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।





















