
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিগত এক যুগ ধরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে গেছে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম, খুন ও দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছিল বলে তিনি দাবি করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মীরবাগ ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের জনগণ অনেক আগেই বুঝতে পেরেছে, আওয়ামী লীগ সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। তাদের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা বারবার ঘটেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অসংখ্য মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশ পরিচালনার নামে সীমাহীন দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জামায়াতের আমির দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এ দেশে যতদিন না আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হবে, ততদিন প্রকৃত শান্তি আসবে না। ইসলামই একমাত্র পথ, যা দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারে।“
ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, গত দেড় যুগে আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে আলেম-ওলামাদের টার্গেট করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। নিরপরাধ মানুষদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার একদিন হবেই।
তিনি বলেন, গত জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের সময় শহীদ আবু সাঈদ বুক উঁচিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। পুলিশের গুলিতে তিনি প্রাণ হারান। রংপুরের জনগণ সবসময় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এসেছে। ভবিষ্যতেও করবে।
এ পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রব্বানীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া, ছাত্র শিবির, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনসহ দলীয় বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।