দুর্লভ খনিজ রপ্তানিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চীন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ এসব গুরুত্বপূর্ণ খনিজের সরবরাহ সংকটে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ খনিজ সম্পদ বিষয়ক একটি সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ৮.৫ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তিকে দুই নেতা “অংশীদারিত্বের নতুন অধ্যায়” হিসেবে অভিহিত করেন।
ট্রাম্প বলেন, “কয়েক মাসের আলোচনার পর অবশেষে আমরা গুরুত্বপূর্ণ এক পর্যায়ে পৌঁছেছি। আগামী এক বছরের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র পর্যাপ্ত পরিমাণ রেয়ার আর্থ খনিজ পাবে।”
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ বলেন, “এই চুক্তি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।”
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ বিরল খনিজ আহরণ এবং ৯০ শতাংশ প্রক্রিয়াজাতকরণ চীনের নিয়ন্ত্রণে। গত সপ্তাহে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘২০২৫ সালের ৬২ নম্বর ঘোষণা’ প্রকাশ করে, যেখানে এসব খনিজ রপ্তানিতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
এর মাধ্যমে বেইজিং বৈশ্বিক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ খনিজের সরবরাহের ওপর আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এই খনিজগুলো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, কম্পিউটার চিপ ও বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।





















