
নারীর মধ্যে দ্রুত বাড়ছে করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা হৃদরোগের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বংশগত কারণের পাশাপাশি ডায়াবেটিস, ধূমপান ও মানসিক চাপ এ রোগকে আরও জটিল করে তুলছে।
হৃদরোগ আর শুধু পুরুষের রোগ নয়, নারীর মধ্যেও করোনারি আর্টারি ডিজিজ (সিএডি) দ্রুত বাড়ছে। ভারতের কার্ডিওলজিস্ট ডা. হেমামালতি রথ জানিয়েছেন, নারীর মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এখন সিএডি। বংশগত কারণের পাশাপাশি ডায়াবেটিস, ধূমপান, অকাল মেনোপজ ও মানসিক চাপ এ রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীর সিএডি হওয়ার সম্ভাবনা পুরুষের তুলনায় সাতগুণ বেশি। অন্যদিকে ধূমপান শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের কার্যকারিতা নষ্ট করে, ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। পুরুষের তুলনায় নারীরা বয়সে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও, একাধিক ঝুঁকি একসঙ্গে কাজ করায় তারা ভয়ঙ্কর ধরনের হার্ট অ্যাটাকের মুখোমুখি হন।
নারীর হৃদরোগে বিশেষ কিছু ফ্যাক্টর ভূমিকা রাখে, যেমন—মেনোপজ পরবর্তী হরমোন পরিবর্তন, গর্ভকালীন জটিলতা, অটোইমিউন রোগ, অকাল প্রসব, মাইগ্রেন ও অবসাদ। এছাড়া নিম্ন-আর্থসামাজিক অবস্থা ও শহুরে মানসিক চাপও ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সচেতনতা বাড়ানো ও জীবনধারায় পরিবর্তনই নারীর হৃদরোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।