
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক ভোট নিশ্চিত করতে ইসিকে শুধু প্রশাসনিক ও আইনগত সংস্কার নয়, প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব মোকাবিলাতেও প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনে রয়েছে একাধিক বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, স্বচ্ছ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোট আয়োজনের জন্য আইন সংস্কার ও বাস্তবায়ন, রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলা, প্রশাসন পুনর্গঠন, সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং অদৃশ্য চাপমুক্ত নির্বাচন করাই প্রধান দায়িত্ব হবে ইসির।
রবিবার সুশীল সমাজের সঙ্গে এক সংলাপে বক্তারা আস্থা ফেরানো ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কমিশনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান। সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, এবারের নির্বাচন দেশের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। তাই ইসিকে উচ্চ নৈতিক মান বজায় রেখে দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের মতে, বিশ্বাসযোগ্য ভোটার তালিকা, আচরণবিধি বাস্তবায়ন এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার জরুরি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচালের চেষ্টা হতে পারে। বিশেষ করে পোস্টাল ব্যালট সাইবার আক্রমণ ও হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।