ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে মধ্যরাতেই বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন শিক্ষার্থীরা। পরে জোহা চত্বর ও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন তারা।
এসময় ‘ভারতের আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ভারতের দালালরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমার দেশ ডুবলে কেনো, সরকারের কাছে জবাব চাই’, ‘পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়তে হবে ভারত ভক্তি’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ এমনসব স্লোগান দিতে দেখা যায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের।
মোস্তাফিজ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ভারত যখন ইচ্ছে তখন আমাদের পানিতে ডুবিয়ে মারবে আবার যখন ইচ্ছে তখন পানি দিবে না। এমন অনেক হয়েছে আর এসব হতে দিবো না। ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এখন সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এখন প্রতিহিংসার সময় নয়, মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আল-সাদী ভুঁইয়া বলেন, এখন সময় হয়েছে ভারতের সঙ্গে করা সকল গোপন চুক্তিতে জনগণের সামনে প্রকাশ করা। তারা যখন ইচ্ছে বাঁধ ভেঙে দিবে আর সেই পানিতে পানি বন্দি হয়ে আমরা মরবো সেটা কখনোই হতে পারে না। আমরা অন্তবর্তী সরকারের মাধ্যমে জানাতে চাই, প্রয়োজন হলে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে। ভারতের দালালি করা আমাদের রক্তে মিশে গেছে। এখনি সময় সেই দালালদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা।
এসময় বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, আজ সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে রাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। সেখানে সকল ছাত্র জনতাকে জড়ো হওয়ার আহবান জানান তারা।