বর্ষা এলেই অনেকের মন সত্যিই ভিন্ন রকমের চঞ্চল হয়ে উঠে চঞ্চলা চপলা ঝরনাগুলোতে গা ভেজাতে। আষাঢ়ে ঢলে প্রাণ ফিরেছে মীরসরাইয়ের ঝরনাগুলোতে। এবার ঈদের ছুটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় ঝরনা দেখতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে।
ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উপজেলার খৈয়াছড়া, নাপিত্তাছড়া, রূপসি, বোয়ালিয়া, বাওয়াছড়া ঝরনায় দলে দলে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকরা।
গতকাল শুক্রবার ঈদের পঞ্চম দিন ও শনিবার সকাল থেকে ঝরনাগুলোতে দেখা যায় মানুষের ঢল। ঝরনা দেখতে দূর থেকে ছুটে এসেছেন শতশত পর্যটক। কারণ বর্ষা মৌসুমে ঝরনার সৌন্দর্য কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ এসব পাহাড়ি ঝরনা ঝরনার প্রবেশ মুখগুলো কানায় কানায় পূর্ণ। কেউবা ঝরনায় যাচ্ছেন গোসল করতে, কেউ সৌন্দর্য উপভোগ করে ফিরছেন আপন নীড়ে। তুলনামূলক বেশি পর্যটক চোখে পড়েছে খৈয়াছড়া, নাপিত্তাছড়া ও রূপসি ঝরনায়।
ঢাকা থেকে খইয়াছড়া ঝরনা দেখতে আসা এক পর্যটক বলেন, আমরা ২০ জন বন্ধু খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে এসেছি। ঈদের ছুটি হওয়ায় আমরা সবাই একত্রিত হতে পেরেছি। বর্ষার মৌসুমে ঝরনা ফিরে তার চিরচেনা রূপে। তাই ঈদে ঘোরার আমাদের প্রধান পছন্দ ছিল ঝরনা। তাই ঝরনা দেখতে এখানে ছুটে এসেছি। বৃষ্টিতে ঝরনায় যাওয়া একটু ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সাবধানতার সঙ্গে আমরা ঘুরেছি।
মীরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, বৃষ্টিতে ঝরনায় পর্যাপ্ত পানি থাকায় পর্যটক বাড়ে। তার মধ্যে ঈদের ছুটি থাকায় এবার আরও বেড়েছে। পর্যটকদের সতর্কতার সঙ্গে আসা-যাওয়ার করতে বলা হয়েছে। গাইড ছাড়া কেউ যেন ঝরনায় যেতে না পারেন, সে বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া আছে।