Search
Close this search box.

বুধবার- ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ধারা ১৮-এর উপধারা (১) অনুযায়ী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হলো এবং তফসিল-২ অনুযায়ী সংগঠনটি নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলো।”

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বাধীনতার পর থেকে বিশেষ করে বিগত ১৫ বছর ধরে ছাত্রলীগ নির্যাতন, খুন, ধর্ষণ, এবং টেন্ডারবাজির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। তারা নিয়মিতভাবে ক্যাম্পাসে সহিংসতা সৃষ্টি করেছে এবং ছাত্রাবাসগুলোতে সিট বাণিজ্য করে আসছিল। এছাড়া, প্রামাণ্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়েছে যে, সংগঠনটির অনেক নেতাকর্মী বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের কর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের উপর সশস্ত্র আক্রমণ চালায়, যাতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়।

ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ হওয়ার ঘোষণায় বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি আবু সাদিক কায়েম বলেন, “ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এবং এটি একটি যৌক্তিক ও সাহসী পদক্ষেপ। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ছিল।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হওয়া অনেক ছাত্রের কথা আমরা ভুলতে পারি না। শহীদ নোমানী, আবুবকর, বিশ্বজিৎ এবং আবরার তাদেরই কয়েকজন। ছাত্রলীগের নিষিদ্ধকরণ যেনো তাদের প্রতি একটি ন্যায্য বিচার ও সম্মান প্রদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়।”

আরো দেখুন

সরকার জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার ফলে দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া আরও সুদৃঢ় হবে। সরকার সতর্ক থাকবে যেনো নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও ছাত্রলীগ অন্য কোনো অবৈধ কার্যক্রমে লিপ্ত না হতে পারে। প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিচার করা হবে যারা বিভিন্ন অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল।

প্রজ্ঞাপন জারির পর সাধারণ জনগণ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই অপরাধপ্রবণ সংগঠনের অবসান দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।

প্রজ্ঞাপনের সারসংক্ষেপ

  • ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
  • প্রজ্ঞাপনে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের প্রয়োগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
  • ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বড় সিদ্ধান্ত।

প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সরকারের অফিসিয়াল সাইট দেখুন।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়