
আইআরআই প্রি-ইলেকশন প্রতিনিধি দলের সাথে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘দ্যা ওয়েস্টিন ঢাকা’-তে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক সম্পাদক খাইরুল আমিন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জাবেদ মায়া এই বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন জানান, আইআরআইয়ের পক্ষ থেকে গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচনি প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ ইতিমধ্যে ৫০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং এই মাসের মধ্যে আরও ১০০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। বর্তমানে আমরা ৩০০টি আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তাদের পক্ষ থেকে সরকারের নির্বাচনি আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে, সরকার ইতিমধ্যেই নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী ফেব্রুয়ারি সময়সীমা অনুযায়ী প্রকাশ করবে। গণঅধিকার পরিষদ সরকারের সংস্কার এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রাখে।
তাদের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির সাথে গণঅধিকার পরিষদের কোনো সংঘাত আছে কিনা জানতে চাওয়া হয়। আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি একই অপরাধ করেছে। এই দেশের জনগণ জাতীয় পার্টিকে রাজনীতি ও নির্বাচনে দেখতে চায় না। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানাই, তারা যেন জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো বৈঠক বা মিটিং না করে।
তাদের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যমত কমিশন, জুলাই সনদ ও গণভোট সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছে এবং বাকিরাও স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবে আমরা শতভাগ একমত নাও হতে পারি, তবে ৮০ শতাংশ অংশীদার দল এতে একমত এসেছে। যেহেতু নির্বাচনের মাত্র চার মাস সময় বাকি, তাই একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।





















