প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না। বুধবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব স্পষ্টভাবে জানান, আওয়ামী লীগ যদি রাজনীতি করতে চায়, তবে তাদের অবশ্যই গণহত্যার বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। সেই সঙ্গে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ গণহত্যার জন্য দায়ীদের ছাড় দেবে না। যারা এসব ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচি সম্পর্কে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা কোনো ধরনের সহিংসতা উসকে দেওয়ার প্রচেষ্টা বরদাস্ত করব না। যদি কেউ বেআইনি কর্মসূচির চেষ্টা করে, তবে জনগণই তার কঠোর জবাব দেবে।
শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কি গণহত্যার জন্য অনুতপ্ত? তারা কি এখন পর্যন্ত ক্ষমা চেয়েছে? ৭১টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো হয়েছে—কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগে, বুধবার বিকেলে শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখেন, “বাংলাদেশের জনগণ খুনি ও দুর্নীতিবাজদের আবার ক্ষমতায় আসতে দেবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবৈধ বিক্ষোভ প্রতিহত করতে প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, মিত্রবাহিনী কি নাৎসিদের বিক্ষোভের অনুমতি দিয়েছিল? ঠিক তেমনই, যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড এবং দুর্নীতির জন্য ক্ষমা চায় ও বিচারের মুখোমুখি হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ দেওয়া হবে না।
সরকারের কঠোর অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে যদি রাজনীতিতে টিকে থাকতে হয়, তবে তাদের অবশ্যই ন্যায়বিচারের আওতায় আসতে হবে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে টিকে থাকা সম্ভব নয়।
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।