
ক্রমাগত কারখানা বন্ধ ও উৎপাদন হ্রাসে বিদেশি ক্রেতাদের আগ্রহ কমছে বলে জানিয়েছে বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে, টেকসই উৎপাদন ধরে রাখতে এখন সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
এক বছরে ১৮৫টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ায় রফতানি খাতেও প্রভাব পড়েছে। গত দুই মাসে রফতানি প্রায় ৫–৬ শতাংশ কমেছে।
রোববার বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, ক্রমাগত কারখানা বন্ধ এবং উৎপাদন হ্রাসে বিদেশি ক্রেতাদের আগ্রহ কমছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সীমিত, উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত অংশগ্রহণ নেই।
অ্যাসোসিয়েশন নেতারা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শুল্ক এবং নির্বাচনের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে পণ্যের চাহিদা বাড়তে দেরি হয়েছে উল্লেখ করেন। তারা সতর্ক করেছেন, উৎপাদন সংকট কাটিয়ে না উঠলে নতুন ক্রয়াদেশ পাওয়া কঠিন হবে। শিল্প উৎপাদন টিকিয়ে রাখতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন বলে সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।