
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় পনের হাজার মানুষ আত্মহত্যা করেন, বিশেষ করে ১৫-৩০ বছর বয়সী তরুণ সমাজে। মানসিক রোগ, পারিবারিক ও সামাজিক চাপই মূল কারণ। সচেতনতা, মনোরোগের চিকিৎসা ও সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই হার কমানো সম্ভব।
প্রতি ৪০ সেকেন্ডে বিশ্বের একজন মানুষ আত্মহত্যা করেন, বছরে প্রায় ৮-১০ লাখ মানুষ জীবন বিসর্জন দেন। বাংলাদেশের প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করছেন, বিশেষ করে ১৫-৩০ বছর বয়সী তরুণ সমাজে। মানসিক রোগ, পারিবারিক কলহ, সামাজিক অস্থিরতা, সম্পর্কের সমস্যা, একাকীত্ব এবং মাদকাসক্তি এই বিপজ্জনক প্রবণতার মূল কারণ।
১০ই সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। আত্মহত্যা প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা, মনোরোগের চিকিৎসা, মানসিক চাপ মোকাবেলার শিক্ষা ও পরিবারের, সমাজের ও রাষ্ট্রের সমন্বিত সহায়তা অপরিহার্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বুলিং প্রতিরোধ, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
নিজের মনের যত্ন নেওয়া, সন্তান ও পরিবারের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধি করাই আত্মহত্যা প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি। সকলে মিলে সচেষ্ট হয়ে সুন্দর পরিবার ও সমাজ গড়ার দিকে এগোতে হবে।