চীনের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকির কয়েক দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন চীনের ক্ষতি নয়, বরং সহযোগিতা করতে চায়।
রবিবার নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “চীন নিয়ে চিন্তা করবেন না, সব ঠিক হয়ে যাবে।” তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরল ধাতু রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপকে “সাময়িক ভুল” বলে উল্লেখ করেন।
ট্রাম্প বলেন, অত্যন্ত সম্মানিত প্রেসিডেন্ট শি কেবল এক খারাপ মুহূর্তের মধ্যে ছিলেন। তিনি তার দেশের জন্য মন্দা চান না, আমিও চাই না।
গত শুক্রবার ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, চীনের “অত্যন্ত আগ্রাসী” বিরল খনিজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার জবাবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর পরপরই তিনি শান্ত বার্তা দিলেন।
ট্রাম্পের ওই হুমকির পর ওয়াল স্ট্রিটে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতন হয়। অন্যদিকে, বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে “দ্বৈত নীতির আদর্শ উদাহরণ” বলে মন্তব্য করে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সেপ্টেম্বর থেকে ওয়াশিংটন একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করছে, যা অন্যায় ও গঠনমূলক সম্পর্কের পরিপন্থী।
বর্তমানে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক ৩০ শতাংশ, যা ট্রাম্প প্রশাসনের আমলেই কার্যকর হয়েছিল চীনের তথাকথিত অন্যায্য বাণিজ্যনীতি ও ফেন্টানিল বাণিজ্যে সহায়তার অভিযোগে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীন মার্কিন পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যে বিরল খনিজ পদার্থ এখন বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান হয়তো বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তাপ কিছুটা কমাবে, তবে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব এখনো বহাল রয়েছে।
