শীতের হিমেল হাওয়ায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে পা ফাটার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। শীতে বাতাসে আর্দ্রতার ঘাটতি থাকায় ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমে যায়। বিশেষ করে যারা পর্যাপ্ত পানি পান করেন না বা শরীরে ভিটামিন বি এবং সি-এর ঘাটতি রয়েছে, তাদের এই সমস্যাটি আরও প্রকট হয়ে দেখা দেয়।
তবে ঘরোয়া কিছু সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এখানে এমনই কয়েকটি উপায় তুলে ধরা হলো:
নারকেল তেলের যত্ন
নারকেল তেল ত্বক মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে গোড়ালিতে নারকেল তেল মাখুন। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং পা ফাটার সমস্যাকে সহজেই কমিয়ে দেয়।
পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহার
পেট্রোলিয়াম জেলি ফাটা গোড়ালির জন্য কার্যকর। প্রতিদিন স্নানের পরে বা রাতে ঘুমানোর আগে গোড়ালিতে এটি ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
মধুর জাদু
মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা পায়ের ত্বককে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এক চামচ মধু পায়ের ফাটা অংশে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক মসৃণ করবে।
কলার খোসার ব্যবহার
ফাটা অংশে কলার খোসা ঘষা বা পাকা কলা পেস্ট করে ব্যবহার করলে ত্বকের ফাটা দ্রুত কমে। কলা ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।
মাউথওয়াশের কার্যকারিতা
মাউথওয়াশ জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। এক ভাগ মাউথওয়াশ ও দুই ভাগ পানি মিশিয়ে তাতে পা ডুবিয়ে রাখলে ত্বকের সংক্রমণ রোধ হয় এবং ত্বক নরম থাকে।
কেন পা ফাটে?
- শীতে বাতাসে আর্দ্রতার অভাব
- শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি
- পর্যাপ্ত পানি না পান করা
- ত্বকের রোগ যেমন সোরিয়াসিস বা একজিমা