
পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো শুধু ফুটবলের মাঠেই নয়, অর্থনীতিতেও ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্থিক সংবাদমাধ্যম ফোর্বসের প্রতিবেদনে জানা গেছে, রোনালদো ক্যারিয়ারে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ১ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছেন। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১.০৪ বিলিয়ন পাউন্ড)।
৩৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড বর্তমানে সৌদি আরবের আল নাসর ক্লাবের হয়ে খেলছেন। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ক্লাব চুক্তি, স্পনসরশিপ ও ব্যক্তিগত ব্যবসা উদ্যোগ থেকে তিনি বিশাল আয় করছেন। রোনালদোর ফুটবল ক্যারিয়ার ধরে খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসের মতো ক্লাবে, যেখানে তিনি রেকর্ড বেতন উপার্জন করেছেন।
তার বর্তমান চুক্তি আল নাসরের সঙ্গে সৌদি প্রো লিগের ইতিহাসের সবচেয়ে লাভজনক চুক্তি হিসেবে বিবেচিত। মাঠের আয় ছাড়াও রোনালদোর নাইকির সঙ্গে আজীবন চুক্তি, সিআর৭ ব্র্যান্ডের পোশাক, সুগন্ধি, চশমা, জিম সরঞ্জাম এবং বিলাসবহুল হোটেল ব্যবসা তার সম্পদের বড় অংশ।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও রোনালদোর প্রভাব অসামান্য। ইনস্টাগ্রামে তার ৬০০ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে, যা তাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সারদের একজন হিসেবে তুলে ধরেছে। প্রতিটি স্পনসর পোস্ট থেকে তার আয় লাখ লাখ ডলারে। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২–২০২৩ সালের মধ্যে শুধুমাত্র বেতন বাবদ তিনি আয় করেছেন ৫৫০ মিলিয়ন ডলার।
২০২২ সালে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর রোনালদো ইতিহাসের সর্বোচ্চ বেতনভোগী ফুটবলার হন। তার বার্ষিক বেতন ১৭৭ মিলিয়ন ইউরো। ২০২৫ সালের জুনে তার চুক্তি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তিনি আরও দুই বছরের জন্য নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যার মূল্য ৪০০ মিলিয়ন ইউরো। ফলে ৪২ বছর বয়স পর্যন্ত সৌদি ক্লাবের সঙ্গে থাকবেন তিনি।
অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরে রোনালদোর প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামি ক্লাবে খেলছেন। ফোর্বসের তথ্যমতে, মেসির ক্যারিয়ারে কর-পূর্ব আয় ৬০০ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি। তার বার্ষিক বেতন ২০ মিলিয়ন ডলার, যা রোনালদোর বেতনের দশ ভাগের এক ভাগ।
ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম বিলিয়ন ডলারের মালিক হিসেবে রোনালদো এখন অনন্য এক রেকর্ডের অধিকারী। মাঠে যেমন রেকর্ড গড়েন, মাঠের বাইরেও অর্থনৈতিক সাফল্যে বিশ্বকে তাক লাগাচ্ছেন তিনি।