
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজকীয় স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে নিজ দেশে ‘রাজতন্ত্র নেই’ স্লোগানে বিক্ষোভের মুখোমুখি হচ্ছেন এই বিতর্কিত নেতা।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সফরে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বাণিজ্য সংক্রান্ত উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহাসিক শহর গিয়ংজু থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে সিল্লা রাজবংশের রাজাদের ব্যবহৃত স্বর্ণমুকুটের একটি রেপ্লিকা উপহার দেওয়া হয়।
সিল্লা রাজবংশ ৫৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৯৩৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কোরীয় উপদ্বীপ শাসন করে। উপহার হিসেবে দেওয়া মুকুটটি সেই সময়কার সবচেয়ে বড় ও অনন্য নিদর্শনের প্রতিরূপ বলে জানানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানায়, মুকুটটি ‘স্বর্গীয় ও পার্থিব নেতৃত্বের মধ্যে ঐশ্বরিক সংযোগের প্রতীক’। এটি শান্তি, সহাবস্থান ও সমৃদ্ধির বার্তা বহন করে—যা সিল্লা রাজবংশের দীর্ঘ স্থিতিশীল যুগের মূল্যবোধের প্রতিফলন।
রাজতন্ত্রের প্রতি নিজের আগ্রহ ট্রাম্প কখনো গোপন করেননি। সেই কারণেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তার বিরুদ্ধে রাজতন্ত্রবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তিনি এসব সমাবেশকে উপহাস করেছেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর একটি ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যায়—তিনি মুকুট পরে যুদ্ধবিমান উড়িয়ে বিক্ষোভকারীদের দিকে ‘কিং ট্রাম্প’ লেখা আবর্জনা ফেলছেন।
এ সফরে ট্রাম্পকে দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গ্র্যান্ড অর্ডার অফ মুগুংওয়া’ প্রদান করা হয়েছে। লরেল পাতার নকশায় তৈরি এই পদকটি শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে তাকে দেওয়া হয়। ট্রাম্প প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটি আমার জন্য এক মহান সম্মান। আমি এখনই এটি পরতে চাই।
স্বর্ণের প্রতি ট্রাম্পের ঝোঁক নতুন কিছু নয়। সপ্তাহের শুরুতে টোকিও সফরে তিনি স্বর্ণপ্রলেপ দেওয়া গলফ বল উপহার পান। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ায় তার সম্মানে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজেও রাখা হয়েছে ‘স্বর্ণ-থিমযুক্ত মিষ্টান্ন’, যা দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী জোট ও পারস্পরিক আস্থার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।





















